জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যানার বাণিজ্যের অভিযোগ
- আপলোড সময় : ০৮-০১-২০২৫ ১২:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০১-২০২৫ ০৩:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন
ছবি: শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ
মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ :: জামালগঞ্জ উপজেলায় ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে ১২৬টি বিদ্যালয়ের জন্য ব্যানার তৈরির নামে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমদের বিরুদ্ধে। জানাযায়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আগ্রহে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর সহযোগিতায় নতুন বছরের শুরুতে মাসব্যাপী জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। সরকারের এই প্রজ্ঞাপনে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ এই কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকার কথা রয়েছে। এসময় দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘আমার স্কুল পরিচ্ছন্ন স্কুল’ শিরোনামে ‘ব্যানার’ প্রদর্শনপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ২০২৪’ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা কার্যক্রমসহ নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলার স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ তাঁদের বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত স্লিপফান্ডের অর্থ থেকে ব্যানার তৈরি করার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ নিজ উদ্যোগে কোনো শিক্ষককে না জানিয়ে উপজেলার ১২৬টি বিদ্যালয়ের জন্য নিজেই তৈরি করেছেন ব্যানার। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এতে প্রতিটি ব্যানার সর্বোচ্চ ৩শ টাকা খরচ হলেও শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে ব্যানার প্রতি বাবদ খরচ নিচ্ছেন ৪শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত। যা নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে। তবে ‘ভয়ে’ অনেকেই মুখ খুলতে চান না। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা তার ভয়ে কিছু বলতে পারিনা। এক শিক্ষক বলেন, ‘টিও’ স্যার নিজেই ব্যানার তৈরি করে এনেছেন। আমি ৪শ টাকা দিয়ে আমার স্কুলের জন্য ব্যানার নিয়েছি। আরেক সহকারী শিক্ষক বলেন, আমাকে আমার প্রধান শিক্ষক ৪৫০ টাকা দিয়ে শিক্ষা অফিস থেকে ব্যানার আনার জন্য বলেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, আমি ব্যানার তৈরি করে দেইনি। তারা নিজেরা তৈরি করেছে বলে ফোনকল কেটে দেন। কিছুক্ষণ পরই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজেল এই প্রতিবেদককে ফোন করে জানান, ভাই আপনি কোথায় আছেন? আমি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজেল বলছি। আমার স্যারকে মনে হয় আপনি ফোন দিয়েছিলেন। আসলে আমরা ব্যানারটা সঠিক সাইজ ও লোগো দিয়ে করার জন্য সবগুলো একসাথে করেছি। বিষয়টি একটু যাচাই-বাছাই করে নিউজ করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান, মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে তারুণ্যের উৎসবে স্ব স্ব বিদ্যালয় তাদের স্লিপের বরাদ্দ থেকে ব্যানারসহ আনুষ্ঠানিক সকল খরচ বহন করবে। এটা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব না যে উনি ব্যানার করে দিবেন বা আমার দায়িত্বও না ব্যানার তৈরি করে দেওয়া। এই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ নিষেধ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ